গল্পের শিরোনাম
recent

একটি সাধারণ প্রেমের গল্প।

সকাল সকাল বাসা থেকে বের হচ্ছি দেখে ভাবী বললেন, ‘কি ব্যাপার! এত সাজুগুজু করে এত তাড়াতাড়ি আজ কোথায় যাওয়া হচ্ছে?’ ‘এই তো এক ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করে আসি।’
আমার উত্তরে ভাবী যেন সন্তুষ্ট হলেন না। কেমন একটা রহস্যময় হাসি দিলেন। কাল মাঝরাতে যখন মোবাইলে কথা বলেছিলাম ভাবী তা শুনে ফেললেন নাকি? আমি আর সময় নষ্ট না করে দ্রুত বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম।
এখন আমাকে অনেক দূর যেতে হবে—খিলগাঁও থেকে মিরপুর। ঢাকাতে আমি একটা আসি না। তাই অপরিচিত পরিবেশে কেমন যেন অসহায়বোধ করছিলাম। এত দূর কিভাবে যাব? কিন্তু যেতে যে আমাকে হবেই। আজ এগারটায় ওর সাথে দেখা করার কথা। মিরপুর শেওড়াপাড়া ওভারব্রিজের নীচে আসবে সে। তারপর….আপাতত জানি না।
খিলগাঁও থেকে ট্যাক্সি চড়ে মালিবাগ মোড়ে পৌঁছালাম। তারপর একটা বাসে উঠে বসলাম। এটা যাবে ফার্মগেট। আমি জানালার পাশে বসেছিলাম। এত মানুষ, এত ছুটোছুটি! কেমন যেন ক্লান্তিকর মনে হচ্ছিল। ফার্মগেট এসে পড়লাম ঝামেলায়। এখন মিরপুর কিভাবে যাব-তা তো জানি না। শেষে এক পান বিক্রেতা বললেন, ’১০ আর ১১ নম্বর বাসগুলো মিরপুর যায়।’
বাসে উঠে এবার বসার জায়গা পেলাম না। এক হাত দিয়ে মাথার উপরের হাতল ধরে রইলাম। অন্য হাতে পকেট শক্ত করে চেপে ধরলাম লাছে যদি পকেট কাটা যায়!
এবারের ড্রাইভার বেশ রসিক মানুষ মনে হল। সে গান বাজাচ্ছিল, ‘গুলশান, বনানী আবার জিগায়….তেজকুনিপাড়ায় হালায় আবার জিগায়…..।’
-চলে এসেছেন। কোথায় আপনি?
-এই তো তোমাদের বাসার গলির ভেতর হাঁটছি।
-কি? যান যেখানে দাঁড়ানোর কথা সেখানে গিয়ে দাঁড়ান। আমি পনের মিনিটের মধ্যে আসছি।
অজানা অচেনা জায়গায় কারো জন্য অপেক্ষা করাটা যে কতখানি বিরক্তিকর তা বলে বুঝানো যাবে না। কি করব বুঝতে পারছিলাম না। শেওড়াপাড়া বাজার থেকে হেঁটে ওভারব্রিজ পর্যন্ত এলাম। আবার উল্টো পথে গেলাম। একটু পরে সে এল। বাহ! গতবারের তুলনায় এবার সে অনেক সুন্দর হয়েছে। চুলও বড় হয়েছে।
-কি খবর? কেমন আছ?
-ভাল। আপনি?
-এই তো।
-তারপর কোথায় যাবেন?
-আমি কিভাবে বলব? আমি তো এখানকার তেমন কিছুই চিনি না। তুমি যেখানে নিয়ে যাবে আমি সেখানেই যাব।
এসব ঘটনায় সাধারণত ছেলেটা মেয়েটাকে পথ দেখায়। আমার ক্ষেত্রে ঘটল উল্টোটা। সাদিয়াই চালকের আসনে বসল।
আমরা মিরপুর বাঁধের উদ্দেশ্যে রিকসা নিলাম। রিকশার পেছনে গাড়ি। হাজার মানুষের ছুটে চলার মাঝে আমাদের রিকশাও এগিয়ে চলল। দুজনই চুপচাপ। হঠাৎ কেমন যেন সিনেম্যাটিক ডায়ালগ দিয়ে ফেওললাম, তুমি না আগের চেয়ে সুন্দর হয়ে গেছ….অনেক সুন্দর।
-কি যে বলেন! মুখ পিমপলে ভরে গেছে। আর আপনি বলেন সুন্দর!
সত্যি বলতে কি সেদিন ওকে আসলেই সুন্দর লাগছিল। বলতে দ্বিধা নেই ওর চোখ দুটো আমাকে যেন চুম্বকের মত টানছিল। ইচ্ছে হচ্ছিল ছুঁয়ে দেখি! আরেকটা জনিস অনুভব করলাম। এর আগেরবার যখন ও আমার সাথে রিকশায় উঠেছিল তখন আমাদের মাঝে প্রায় পাঁচ ইঞ্চি দূরত্ব ছিল। অথচ আজ সেটা নেই।
মিরপুর বাঁধ আমার কাছে আজব জায়গা বলে মনে হয়। শুধু জুটি আর জুটি। রিকসায় জুটি। রাস্তায় জুটি। পার্কে জুটি। হঠাৎ এক লোক এসে বলল, মামা ছইওয়ালা নৌকা আছে। আসেন আপুরে নিয়া নৌকাই ঘুইরা আসেন।
আমি বললাম, নৌকায় উঠবে?
সাদিয়া আমাকে এক বাক্যে না করে দিল।
আমরা বাঁধের উপর বসলাম। সামনে শুকনো নদী। নদীর পাড় ঘেষে ধানের চারা লাগানো হয়েছে। একটা ছোট কার্গোকে দেখলাম ঘুরে ঘুরে বালি তুলছে।
-তারপর কি অবস্থা? কি খবর? আমি বললাম।
-কি আর খবর হবে? প্রতিদিনই তো আপনার সাথে কথা হয়। সবই তো জানেন। নতুন কোন খবর নেই।
এরপর কি বলব বুঝতে পারছিলাম না। আসলে এখানে আসার আগে মনে হয়েছিল একে সামনে পেলে কথার ঝড় বইয়ে দেব। অথচ এখন বলার মত কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না। আমি বললাম, মোবাইলেই তোমার সাথে গল্প জমে। এখন কেমন যেন লাগছে।
-আচ্ছা ঠিক আছে। যান দূরে যেয়ে আমাকে কল দেন আমি রিসিভ করছি!
আবার কিছুক্ষণব চুপচাপ বসে থাকি।
-আচ্ছা তুমি আমাকে আর কতদিন ‘আপনি’ করে বলবে? আমার এসব আপনি-টাপনি আর ভাল লাগছে না। প্লিজ ‘তুমি’ করে বল। প্লিজ।
-আছা বাবা বলব, বলব। পরে বলব। গান শুনবেন। নেন গান শুনেন।
সাদিয়া তাঁর এমপিথ্রি প্লেয়ারের হেডফোনের একটা কর্ড আমার কানে ভরে দিল। অন্যটা নিজের কানে রেখে দিল। মাহমুদুজ্জামান বাবুর গান বাজছে, আমি বাংলার গান গাই….।
আস্তে আস্তে সূর্যের তাপ বাড়তে লাগল। এমনিতেই আমার মাথায় চুল কম। তারপর খোলা জায়গায় সরাসরি সূর্যের আলো। মাথা ঝিমঝিম করা শুরু করল। ওর অবশ্য তেমন একটা লাগল না। কারণ আমাকে দিয়ে সূর্যকে আড়াল করে সে বসেছিল। বসুক। বেশিক্ষণ সূর্যের আলোয় থাকলে আমার হাত-পা কাঁপতে থাকে।  যাক তারপরও ওকে আড়াল করে রাখারই চেষ্টা করলাম। কেননা আমি যে ওকে ভালবাসি, ভীষণ ভালবাসি।
হঠাৎ ওর হাত ধরলাম। এক ঝটকায় ও হাত ছাড়িয়ে নিল। একটু কষ্ট পেলাম। নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম, এটা ঠিক না। এটা ঠিক না।
কিন্তু পারলাম না। পরে যে কখন আবার ওর হাত ধরে ফেলেছিলাম তা নিজেই টের পাইনি। এভাবে কতক্ষণ যে ওর হাত ধরে ছিলাম তা বলতে পারব না।
দুপুর হয়ে এলে আমরা জায়গা পরিবর্তন করলাম। একটা পুকুরের পাশে গাছের নীচে ছায়ায় গিয়ে বসলাম।
সত্যি বলতে কি সারাদিন আমাদের তেমন একটা কথা হল না। শুধু চুপচাপ পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে বসে থাকা হল। বেশিরভাগ সময়ই আমি বেহায়ার মত ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। ও প্রায়ই বলছিল, দ্যাখেন, এভাবে তাকিয়ে থাকবেন না। আমার ব্যাপারটা ভাল লাগে না।
কিন্তু আমি কি করব? আমি যে কিছুতেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলাম না। শুধু ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করছিল। দূরে দেখলাম, আমাদের মত এক জোড়া বসে আছে। হঠাৎ ছেলেটা মেয়েটাকে জোর করে ধরে একটা কিস দিয়ে দিল। মেয়েটা রাগ করে উঠে গেল। ছেলেটা ‘সরি, সরি’ বলতে বলতে তাঁর পেছনে ছুটল।
আজকের দিন আমার কাছে বছরের সবচেয়ে ছোট দিন বলে মনে হচ্ছিল। এত তাড়াতাড়ি বিকাল হয়ে গেল! ইচ্ছে হচ্ছিল না ফিরে যাই। তবুও ফিরতে হল। সাদিয়া রিকসা নিয়ে বাসায় চলে গেল। আমি শেওড়াপাড়া বাজারের সামনে নেমে গেলাম। আবার সেই ফেরার পালা, আবার সেই বাস, ‘গুলশান, বনানী আবার জিগায়…….তেজকুনিপাড়ায় হালায় আবার জিগায়….।’
একটি ছেলে এবং একটি মেয়ের গল্প'। যে গল্পটি 'ইত্যাদিতে প্রচারিত হয়েছিল ২৯ মার্চ ২০১৩ সালে। ছেলেটির নাম শিপন আহম্মেদ, মেয়েটির নাম মেরিনা মোস্তারি। ঘটনাস্থল মাগুরা জেলার ভায়নার মোড় বাসস্ট্যান্ড। বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ানো শিপন হঠাৎ দেখলেন একটি সুন্দরী মেয়ে একটি ছেলের হাত ধরে রিকশা থেকে নামছে। মেয়েটিকে দেখেই শিপনের প্রচণ্ড ভালো লেগে যায়। অভিভূত হয়ে এগিয়ে যায় সে। দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে নিজের পরিচয় দিয়ে শিপন ওদের পরিচয় জানতে চায়। জানতে পারে মেয়েটির নাম মেরিনা। আর সঙ্গের ছেলেটি তারই ভাই। শিপন ফিরে আসে। কিন্তু কিছুতেই ভুলতে পারে না মেরিনার কথা। ভালোবেসে ফেলে সে মেয়েটিকে। সিদ্ধান্ত নেয় এই মেয়েটিই হবে তার জীবন সঙ্গী। একদিন সে প্রাণের টানে ছুটে যায় মেয়েটির বাড়িতে। মেয়েটিকে বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করে এবং সেদিনই সে জানতে পারে মেয়েটি অন্ধ। ফিরে আসার পর সে অনুভব করে মেয়েটির জন্য তার ভালোবাসা আরও বেড়ে গেছে। কিন্তু উভয়পক্ষের অভিভাবক তারই ভবিষ্যতের কথা ভেবে কিছুতেই রাজি হন না এ বিয়েতে। কোনো ইতিবাচক ফল না পেয়ে সে যোগাযোগ করে মেয়েটির সঙ্গে। মেয়েটিও তাকে ভালোবেসে ফেলে। দীর্ঘ তিন বছর অভিভাবক পর্যায়ে কোনো সুফল না পেয়ে শিপন ও মেরিনা ২০০৫ সালের ৫ জুলাই কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। তারপর দীর্ঘ আট বছর পেরিয়ে গেছে। বগুড়ার শেরপুরে শিপন আহমেদের কর্মস্থল। আর না বলে দিলে কারোরই বোঝার উপায় নেই মেরিনা মোস্তারি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। বর্তমানে তাদের দুটি সন্তান। সংসারের যাবতীয় কাজ তিনি নিজের হাতেই করেন। ছেলেমেয়েদের দাঁত ব্রাশ করা থেকে শুরু করে, স্কুলের পোশাক পরিয়ে, স্কুলের ব্যাগ গুছিয়ে দেওয়া পর্যন্ত সবই করেন নিজের হাতে। পরিবারের সবার জন্য প্রতিদিন নিজের হাতেই তৈরি করেন নাশতা। শুধু তাই নয়, কারও সাহায্য ছাড়াই দুপুর এবং রাতের রান্না সবই করেন নিজের হাতে। খাওয়ার টেবিলেও সবাই বসেন একসঙ্গে। কখনো দুজন বারান্দায় বসে গল্প করেন, স্ত্রীকে পত্রিকা পড়ে শোনান স্বামী। তারপর অবসরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেড়াতে যান পার্কে। কাটান কিছু আনন্দময় মুহূর্ত। শিপন তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আসলে যখন আমি জানতে পারলাম ও অন্ধ সে মুহূর্তে ওর প্রতি আমার ভালোবাসাটা আরও বেড়ে যায়। শিপনের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মেরিনা বলেন, মন দেখা যায় না। আমি আমার মন দিয়ে ওর মনকে অনুভব করেছি। আমার মনে হয়েছিল ও খুব ভালো মানুষ। শেষে শিপন বলেন, প্রতিটি স্বামীরই উচিত তার স্ত্রীকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া, ভালোবাসা এবং বিশ্বাস রাখা। - See more at: http://www.bd-pratidin.com/various/2015/06/24/89281#sthash.O1EaHXTv.dpuf
একটি ছেলে এবং একটি মেয়ের গল্প'। যে গল্পটি 'ইত্যাদিতে প্রচারিত হয়েছিল ২৯ মার্চ ২০১৩ সালে। ছেলেটির নাম শিপন আহম্মেদ, মেয়েটির নাম মেরিনা মোস্তারি। ঘটনাস্থল মাগুরা জেলার ভায়নার মোড় বাসস্ট্যান্ড। বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ানো শিপন হঠাৎ দেখলেন একটি সুন্দরী মেয়ে একটি ছেলের হাত ধরে রিকশা থেকে নামছে। মেয়েটিকে দেখেই শিপনের প্রচণ্ড ভালো লেগে যায়। অভিভূত হয়ে এগিয়ে যায় সে। দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে নিজের পরিচয় দিয়ে শিপন ওদের পরিচয় জানতে চায়। জানতে পারে মেয়েটির নাম মেরিনা। আর সঙ্গের ছেলেটি তারই ভাই। শিপন ফিরে আসে। কিন্তু কিছুতেই ভুলতে পারে না মেরিনার কথা। ভালোবেসে ফেলে সে মেয়েটিকে। সিদ্ধান্ত নেয় এই মেয়েটিই হবে তার জীবন সঙ্গী। একদিন সে প্রাণের টানে ছুটে যায় মেয়েটির বাড়িতে। মেয়েটিকে বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করে এবং সেদিনই সে জানতে পারে মেয়েটি অন্ধ। ফিরে আসার পর সে অনুভব করে মেয়েটির জন্য তার ভালোবাসা আরও বেড়ে গেছে। কিন্তু উভয়পক্ষের অভিভাবক তারই ভবিষ্যতের কথা ভেবে কিছুতেই রাজি হন না এ বিয়েতে। কোনো ইতিবাচক ফল না পেয়ে সে যোগাযোগ করে মেয়েটির সঙ্গে। মেয়েটিও তাকে ভালোবেসে ফেলে। দীর্ঘ তিন বছর অভিভাবক পর্যায়ে কোনো সুফল না পেয়ে শিপন ও মেরিনা ২০০৫ সালের ৫ জুলাই কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। তারপর দীর্ঘ আট বছর পেরিয়ে গেছে। বগুড়ার শেরপুরে শিপন আহমেদের কর্মস্থল। আর না বলে দিলে কারোরই বোঝার উপায় নেই মেরিনা মোস্তারি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। বর্তমানে তাদের দুটি সন্তান। সংসারের যাবতীয় কাজ তিনি নিজের হাতেই করেন। ছেলেমেয়েদের দাঁত ব্রাশ করা থেকে শুরু করে, স্কুলের পোশাক পরিয়ে, স্কুলের ব্যাগ গুছিয়ে দেওয়া পর্যন্ত সবই করেন নিজের হাতে। পরিবারের সবার জন্য প্রতিদিন নিজের হাতেই তৈরি করেন নাশতা। শুধু তাই নয়, কারও সাহায্য ছাড়াই দুপুর এবং রাতের রান্না সবই করেন নিজের হাতে। খাওয়ার টেবিলেও সবাই বসেন একসঙ্গে। কখনো দুজন বারান্দায় বসে গল্প করেন, স্ত্রীকে পত্রিকা পড়ে শোনান স্বামী। তারপর অবসরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেড়াতে যান পার্কে। কাটান কিছু আনন্দময় মুহূর্ত। শিপন তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আসলে যখন আমি জানতে পারলাম ও অন্ধ সে মুহূর্তে ওর প্রতি আমার ভালোবাসাটা আরও বেড়ে যায়। শিপনের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মেরিনা বলেন, মন দেখা যায় না। আমি আমার মন দিয়ে ওর মনকে অনুভব করেছি। আমার মনে হয়েছিল ও খুব ভালো মানুষ। শেষে শিপন বলেন, প্রতিটি স্বামীরই উচিত তার স্ত্রীকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া, ভালোবাসা এবং বিশ্বাস রাখা। - See more at: http://www.bd-pratidin.com/various/2015/06/24/89281#sthash.O1EaHXTv.dpuf
একটি ছেলে এবং একটি মেয়ের গল্প'। যে গল্পটি 'ইত্যাদিতে প্রচারিত হয়েছিল ২৯ মার্চ ২০১৩ সালে। ছেলেটির নাম শিপন আহম্মেদ, মেয়েটির নাম মেরিনা মোস্তারি। ঘটনাস্থল মাগুরা জেলার ভায়নার মোড় বাসস্ট্যান্ড। বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ানো শিপন হঠাৎ দেখলেন একটি সুন্দরী মেয়ে একটি ছেলের হাত ধরে রিকশা থেকে নামছে। মেয়েটিকে দেখেই শিপনের প্রচণ্ড ভালো লেগে যায়। অভিভূত হয়ে এগিয়ে যায় সে। দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে নিজের পরিচয় দিয়ে শিপন ওদের পরিচয় জানতে চায়। জানতে পারে মেয়েটির নাম মেরিনা। আর সঙ্গের ছেলেটি তারই ভাই। শিপন ফিরে আসে। কিন্তু কিছুতেই ভুলতে পারে না মেরিনার কথা। ভালোবেসে ফেলে সে মেয়েটিকে। সিদ্ধান্ত নেয় এই মেয়েটিই হবে তার জীবন সঙ্গী। একদিন সে প্রাণের টানে ছুটে যায় মেয়েটির বাড়িতে। মেয়েটিকে বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করে এবং সেদিনই সে জানতে পারে মেয়েটি অন্ধ। ফিরে আসার পর সে অনুভব করে মেয়েটির জন্য তার ভালোবাসা আরও বেড়ে গেছে। কিন্তু উভয়পক্ষের অভিভাবক তারই ভবিষ্যতের কথা ভেবে কিছুতেই রাজি হন না এ বিয়েতে। কোনো ইতিবাচক ফল না পেয়ে সে যোগাযোগ করে মেয়েটির সঙ্গে। মেয়েটিও তাকে ভালোবেসে ফেলে। দীর্ঘ তিন বছর অভিভাবক পর্যায়ে কোনো সুফল না পেয়ে শিপন ও মেরিনা ২০০৫ সালের ৫ জুলাই কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। তারপর দীর্ঘ আট বছর পেরিয়ে গেছে। বগুড়ার শেরপুরে শিপন আহমেদের কর্মস্থল। আর না বলে দিলে কারোরই বোঝার উপায় নেই মেরিনা মোস্তারি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। বর্তমানে তাদের দুটি সন্তান। সংসারের যাবতীয় কাজ তিনি নিজের হাতেই করেন। ছেলেমেয়েদের দাঁত ব্রাশ করা থেকে শুরু করে, স্কুলের পোশাক পরিয়ে, স্কুলের ব্যাগ গুছিয়ে দেওয়া পর্যন্ত সবই করেন নিজের হাতে। পরিবারের সবার জন্য প্রতিদিন নিজের হাতেই তৈরি করেন নাশতা। শুধু তাই নয়, কারও সাহায্য ছাড়াই দুপুর এবং রাতের রান্না সবই করেন নিজের হাতে। খাওয়ার টেবিলেও সবাই বসেন একসঙ্গে। কখনো দুজন বারান্দায় বসে গল্প করেন, স্ত্রীকে পত্রিকা পড়ে শোনান স্বামী। তারপর অবসরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেড়াতে যান পার্কে। কাটান কিছু আনন্দময় মুহূর্ত। শিপন তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আসলে যখন আমি জানতে পারলাম ও অন্ধ সে মুহূর্তে ওর প্রতি আমার ভালোবাসাটা আরও বেড়ে যায়। শিপনের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মেরিনা বলেন, মন দেখা যায় না। আমি আমার মন দিয়ে ওর মনকে অনুভব করেছি। আমার মনে হয়েছিল ও খুব ভালো মানুষ। শেষে শিপন বলেন, প্রতিটি স্বামীরই উচিত তার স্ত্রীকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া, ভালোবাসা এবং বিশ্বাস রাখা। - See more at: http://www.bd-pratidin.com/various/2015/06/24/89281#sthash.O1EaHXTv.dpuf
একটি ছেলে এবং একটি মেয়ের গল্প'। যে গল্পটি 'ইত্যাদিতে প্রচারিত হয়েছিল ২৯ মার্চ ২০১৩ সালে। ছেলেটির নাম শিপন আহম্মেদ, মেয়েটির নাম মেরিনা মোস্তারি। ঘটনাস্থল মাগুরা জেলার ভায়নার মোড় বাসস্ট্যান্ড। বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ানো শিপন হঠাৎ দেখলেন একটি সুন্দরী মেয়ে একটি ছেলের হাত ধরে রিকশা থেকে নামছে। মেয়েটিকে দেখেই শিপনের প্রচণ্ড ভালো লেগে যায়। অভিভূত হয়ে এগিয়ে যায় সে। দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে নিজের পরিচয় দিয়ে শিপন ওদের পরিচয় জানতে চায়। জানতে পারে মেয়েটির নাম মেরিনা। আর সঙ্গের ছেলেটি তারই ভাই। শিপন ফিরে আসে। কিন্তু কিছুতেই ভুলতে পারে না মেরিনার কথা। ভালোবেসে ফেলে সে মেয়েটিকে। সিদ্ধান্ত নেয় এই মেয়েটিই হবে তার জীবন সঙ্গী। একদিন সে প্রাণের টানে ছুটে যায় মেয়েটির বাড়িতে। মেয়েটিকে বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করে এবং সেদিনই সে জানতে পারে মেয়েটি অন্ধ। ফিরে আসার পর সে অনুভব করে মেয়েটির জন্য তার ভালোবাসা আরও বেড়ে গেছে। কিন্তু উভয়পক্ষের অভিভাবক তারই ভবিষ্যতের কথা ভেবে কিছুতেই রাজি হন না এ বিয়েতে। কোনো ইতিবাচক ফল না পেয়ে সে যোগাযোগ করে মেয়েটির সঙ্গে। মেয়েটিও তাকে ভালোবেসে ফেলে। দীর্ঘ তিন বছর অভিভাবক পর্যায়ে কোনো সুফল না পেয়ে শিপন ও মেরিনা ২০০৫ সালের ৫ জুলাই কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। তারপর দীর্ঘ আট বছর পেরিয়ে গেছে। বগুড়ার শেরপুরে শিপন আহমেদের কর্মস্থল। আর না বলে দিলে কারোরই বোঝার উপায় নেই মেরিনা মোস্তারি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। বর্তমানে তাদের দুটি সন্তান। সংসারের যাবতীয় কাজ তিনি নিজের হাতেই করেন। ছেলেমেয়েদের দাঁত ব্রাশ করা থেকে শুরু করে, স্কুলের পোশাক পরিয়ে, স্কুলের ব্যাগ গুছিয়ে দেওয়া পর্যন্ত সবই করেন নিজের হাতে। পরিবারের সবার জন্য প্রতিদিন নিজের হাতেই তৈরি করেন নাশতা। শুধু তাই নয়, কারও সাহায্য ছাড়াই দুপুর এবং রাতের রান্না সবই করেন নিজের হাতে। খাওয়ার টেবিলেও সবাই বসেন একসঙ্গে। কখনো দুজন বারান্দায় বসে গল্প করেন, স্ত্রীকে পত্রিকা পড়ে শোনান স্বামী। তারপর অবসরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেড়াতে যান পার্কে। কাটান কিছু আনন্দময় মুহূর্ত। শিপন তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আসলে যখন আমি জানতে পারলাম ও অন্ধ সে মুহূর্তে ওর প্রতি আমার ভালোবাসাটা আরও বেড়ে যায়। শিপনের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মেরিনা বলেন, মন দেখা যায় না। আমি আমার মন দিয়ে ওর মনকে অনুভব করেছি। আমার মনে হয়েছিল ও খুব ভালো মানুষ। শেষে শিপন বলেন, প্রতিটি স্বামীরই উচিত তার স্ত্রীকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া, ভালোবাসা এবং বিশ্বাস রাখা। - See more at: http://www.bd-pratidin.com/various/2015/06/24/89281#sthash.O1EaHXTv.dpuf
একটি ছেলে এবং একটি মেয়ের গল্প'। যে গল্পটি 'ইত্যাদিতে প্রচারিত হয়েছিল ২৯ মার্চ ২০১৩ সালে। ছেলেটির নাম শিপন আহম্মেদ, মেয়েটির নাম মেরিনা মোস্তারি। ঘটনাস্থল মাগুরা জেলার ভায়নার মোড় বাসস্ট্যান্ড। বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ানো শিপন হঠাৎ দেখলেন একটি সুন্দরী মেয়ে একটি ছেলের হাত ধরে রিকশা থেকে নামছে। মেয়েটিকে দেখেই শিপনের প্রচণ্ড ভালো লেগে যায়। অভিভূত হয়ে এগিয়ে যায় সে। দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে নিজের পরিচয় দিয়ে শিপন ওদের পরিচয় জানতে চায়। জানতে পারে মেয়েটির নাম মেরিনা। আর সঙ্গের ছেলেটি তারই ভাই। শিপন ফিরে আসে। কিন্তু কিছুতেই ভুলতে পারে না মেরিনার কথা। ভালোবেসে ফেলে সে মেয়েটিকে। সিদ্ধান্ত নেয় এই মেয়েটিই হবে তার জীবন সঙ্গী। একদিন সে প্রাণের টানে ছুটে যায় মেয়েটির বাড়িতে। মেয়েটিকে বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করে এবং সেদিনই সে জানতে পারে মেয়েটি অন্ধ। ফিরে আসার পর সে অনুভব করে মেয়েটির জন্য তার ভালোবাসা আরও বেড়ে গেছে। কিন্তু উভয়পক্ষের অভিভাবক তারই ভবিষ্যতের কথা ভেবে কিছুতেই রাজি হন না এ বিয়েতে। কোনো ইতিবাচক ফল না পেয়ে সে যোগাযোগ করে মেয়েটির সঙ্গে। মেয়েটিও তাকে ভালোবেসে ফেলে। দীর্ঘ তিন বছর অভিভাবক পর্যায়ে কোনো সুফল না পেয়ে শিপন ও মেরিনা ২০০৫ সালের ৫ জুলাই কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। তারপর দীর্ঘ আট বছর পেরিয়ে গেছে। বগুড়ার শেরপুরে শিপন আহমেদের কর্মস্থল। আর না বলে দিলে কারোরই বোঝার উপায় নেই মেরিনা মোস্তারি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। বর্তমানে তাদের দুটি সন্তান। সংসারের যাবতীয় কাজ তিনি নিজের হাতেই করেন। ছেলেমেয়েদের দাঁত ব্রাশ করা থেকে শুরু করে, স্কুলের পোশাক পরিয়ে, স্কুলের ব্যাগ গুছিয়ে দেওয়া পর্যন্ত সবই করেন নিজের হাতে। পরিবারের সবার জন্য প্রতিদিন নিজের হাতেই তৈরি করেন নাশতা। শুধু তাই নয়, কারও সাহায্য ছাড়াই দুপুর এবং রাতের রান্না সবই করেন নিজের হাতে। খাওয়ার টেবিলেও সবাই বসেন একসঙ্গে। কখনো দুজন বারান্দায় বসে গল্প করেন, স্ত্রীকে পত্রিকা পড়ে শোনান স্বামী। তারপর অবসরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেড়াতে যান পার্কে। কাটান কিছু আনন্দময় মুহূর্ত। শিপন তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আসলে যখন আমি জানতে পারলাম ও অন্ধ সে মুহূর্তে ওর প্রতি আমার ভালোবাসাটা আরও বেড়ে যায়। শিপনের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মেরিনা বলেন, মন দেখা যায় না। আমি আমার মন দিয়ে ওর মনকে অনুভব করেছি। আমার মনে হয়েছিল ও খুব ভালো মানুষ। শেষে শিপন বলেন, প্রতিটি স্বামীরই উচিত তার স্ত্রীকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া, ভালোবাসা এবং বিশ্বাস রাখা। - See more at: http://www.bd-pratidin.com/various/2015/06/24/89281#sthash.O1EaHXTv.dpuf
একটি ছেলে এবং একটি মেয়ের গল্প'। যে গল্পটি 'ইত্যাদিতে প্রচারিত হয়েছিল ২৯ মার্চ ২০১৩ সালে। ছেলেটির নাম শিপন আহম্মেদ, মেয়েটির নাম মেরিনা মোস্তারি। ঘটনাস্থল মাগুরা জেলার ভায়নার মোড় বাসস্ট্যান্ড। বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ানো শিপন হঠাৎ দেখলেন একটি সুন্দরী মেয়ে একটি ছেলের হাত ধরে রিকশা থেকে নামছে। মেয়েটিকে দেখেই শিপনের প্রচণ্ড ভালো লেগে যায়। অভিভূত হয়ে এগিয়ে যায় সে। দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে নিজের পরিচয় দিয়ে শিপন ওদের পরিচয় জানতে চায়। জানতে পারে মেয়েটির নাম মেরিনা। আর সঙ্গের ছেলেটি তারই ভাই। শিপন ফিরে আসে। কিন্তু কিছুতেই ভুলতে পারে না মেরিনার কথা। ভালোবেসে ফেলে সে মেয়েটিকে। সিদ্ধান্ত নেয় এই মেয়েটিই হবে তার জীবন সঙ্গী। একদিন সে প্রাণের টানে ছুটে যায় মেয়েটির বাড়িতে। মেয়েটিকে বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করে এবং সেদিনই সে জানতে পারে মেয়েটি অন্ধ। ফিরে আসার পর সে অনুভব করে মেয়েটির জন্য তার ভালোবাসা আরও বেড়ে গেছে। কিন্তু উভয়পক্ষের অভিভাবক তারই ভবিষ্যতের কথা ভেবে কিছুতেই রাজি হন না এ বিয়েতে। কোনো ইতিবাচক ফল না পেয়ে সে যোগাযোগ করে মেয়েটির সঙ্গে। মেয়েটিও তাকে ভালোবেসে ফেলে। দীর্ঘ তিন বছর অভিভাবক পর্যায়ে কোনো সুফল না পেয়ে শিপন ও মেরিনা ২০০৫ সালের ৫ জুলাই কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। তারপর দীর্ঘ আট বছর পেরিয়ে গেছে। বগুড়ার শেরপুরে শিপন আহমেদের কর্মস্থল। আর না বলে দিলে কারোরই বোঝার উপায় নেই মেরিনা মোস্তারি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। বর্তমানে তাদের দুটি সন্তান। সংসারের যাবতীয় কাজ তিনি নিজের হাতেই করেন। ছেলেমেয়েদের দাঁত ব্রাশ করা থেকে শুরু করে, স্কুলের পোশাক পরিয়ে, স্কুলের ব্যাগ গুছিয়ে দেওয়া পর্যন্ত সবই করেন নিজের হাতে। পরিবারের সবার জন্য প্রতিদিন নিজের হাতেই তৈরি করেন নাশতা। শুধু তাই নয়, কারও সাহায্য ছাড়াই দুপুর এবং রাতের রান্না সবই করেন নিজের হাতে। খাওয়ার টেবিলেও সবাই বসেন একসঙ্গে। কখনো দুজন বারান্দায় বসে গল্প করেন, স্ত্রীকে পত্রিকা পড়ে শোনান স্বামী। তারপর অবসরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেড়াতে যান পার্কে। কাটান কিছু আনন্দময় মুহূর্ত। শিপন তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আসলে যখন আমি জানতে পারলাম ও অন্ধ সে মুহূর্তে ওর প্রতি আমার ভালোবাসাটা আরও বেড়ে যায়। শিপনের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মেরিনা বলেন, মন দেখা যায় না। আমি আমার মন দিয়ে ওর মনকে অনুভব করেছি। আমার মনে হয়েছিল ও খুব ভালো মানুষ। শেষে শিপন বলেন, প্রতিটি স্বামীরই উচিত তার স্ত্রীকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া, ভালোবাসা এবং বিশ্বাস রাখা। - See more at: http://www.bd-pratidin.com/various/2015/06/24/89281#sthash.O1EaHXTv.dpuf
ABC

ABC

1 comment:

Powered by Blogger.